Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে হিসাব করার বিষয় হলো যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মোট কত শতাংশ শুল্কারোপ হচ্ছে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে বাংলাদেশের আগের শুল্ক ছিল ১৫.৫% থেকে ৩২%। আজ ট্রাম্পের আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক ২০%। অতএব, বাংলাদেশি পোশাকে মোট শুল্ক ৩৫.৫% থেকে ৫২% এর মধ্যে দিতে হবে।
বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভারতের পূর্ববর্তী শুল্ক ছিল ৮.৫% থেকে ১৫.৫% এর মধ্যে, নতুন পারস্পরিক শুল্ক ২৫%। মোট মার্কিন শুল্ক হবে ৩৩.৫% থেকে ৪০.৫% এর মধ্যে।
বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের পূর্ববর্তী শুল্ক ছিল ৮.৫% থেকে ১৬% এর মধ্যে। নতুন পারস্পরিক শুল্ক ২০%। অতএব মোট মার্কিন শুল্ক হবে ২৮.৫% থেকে ৩৬% এর মধ্যে।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন,পাল্টা শুল্ক নিয়ে গত তিন মাস ধরে আমরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। অনিশ্চয়তার মধ্যে ব্যবসা–বাণিজ্য করা কঠিন। মার্কিন ক্রেতারাও পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াটা আমাদের জন্য স্বস্তির।
তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, প্রতিযোগী দেশের তুলনায় আমাদের পণ্যে পাল্টা শুল্ক বেশি হলে ব্যবসা কঠিন হয়ে যাবে। তবে প্রতিযোগী দেশ পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের পাল্টা শুল্ক ১ শতাংশ বেশি হলেও ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। এ ছাড়া চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। এটি আমাদের জন্য বড় স্বস্তির।
আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাড়তি পাল্টা শুল্কের কারণে সাময়িকভাবে ব্যবসা কমতে পারে। তার কারণ আগের থেকে পণ্য আমদানিতে বেশি শুল্ক দিতে হবে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে। এতে তাদের মূলধনে টান পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে তারা যদি বাড়তি অর্থায়নের সংস্থান না করতে পারে তাহলে ক্রয়াদেশ কম দেবে। তা ছাড়া বাড়তি শুল্ক শেষ পর্যন্ত ক্রেতাদের ঘাড়ে গিয়েই পড়বে। শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বাড়লে ক্রেতারা চাপে পড়বেন। তাতে পণ্যের বিক্রি কমে যেতে পারে।